মেডিসিনাল প্লান্টস

অর্জুন
প্রচলিত নাম: অর্জুন
ইউনানী নাম লেসানুল ইন্‌সান
আয়ুর্বেদিক নাম: অর্জুন
ইংরেজী নাম: Arjuna
বৈজ্ঞানিক নাম: Terminalia arjuna (Roxb.) W. & A.
পরিবার: Combretaceae
image
পরিচিতি: অর্জুন গাছ সাধারণতঃ ২০-২৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। পাতা সরল, আয়তাকার লম্বা, দেখতে অনেকটা পেয়ারা পাতার মত। শীতকালে পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তের আগমনে নতুন পাতা গজায়। ফুল হলুদ বরণের, ছোট মঞ্জরীতে সজ্জিত। ফল দেখতে ছোট কামরাঙ্গার মত।
প্রাপ্তিস্থান: বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে লাগানো অবস্থায় দেখা যায়। চট্টগ্রাম ও সিলেটের বনাঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে।
রোগের সময় ও পদ্ধতি: মার্চ-এপ্রিল মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা হয়। বীজ লাগানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যেই চারা গজায়। বীজতলার মাটি ও গোবরের অনুপাত হবে ৩ : ১ । পলিথিন ব্যাগে একই মিশ্রণে বীজ পুঁতে চারা উৎপাদন করা যায়। দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়। চারা বর্ষার শুরুতেই নির্ধারিত স্থানে লাগাতে হয়। এর চাষের জন্য উন্মুক্ত স্থান ভাল।
রাসায়নিক উপাদান: ছালে প্রচুর অ্যালকালয়ডীয় ও গ্লাইকোসাইডীয় উপাদান, স্যাপোজেনিন, ফ্ল্যাভোন, ল্যাকটোন, উদ্বায়ী তেল ও জৈব এসিড বিদ্যমান।
ব্যবহার্য আংশ: প্রধানতঃ ছাল, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে পাতা ও ফল।
গুণাগুণ: হৃদপিন্ডের শক্তিদায়ক, সংকোচক, প্রমেহ নিবারক, ক্ষতসারক, বলকারক। তাছাড়া আমাশয়, উচ্চ রক্তচাপ ও জ্বরে উপকারী।
বিশেষ কার‍্যকারিতা: হৃদপিন্ডের শক্তিদায়ক ও বলকারক।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতি:
রোগের নাম ব্যবহার্য অংশ মাত্রা ব্যবহার পদ্ধতি
হৃদপিন্ডের শক্তি বৃদ্ধি ও সাধারণ দুর্বলতায় ছাল চূর্ণ ৩-৪ গ্রাম পত্যহ ২ বার ১ গ্লাস দুধসহ সেব্য। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সকালে খাওয়া ঠিক নয়।
প্রমেহ ও ক্ষত নিরসনে ছাল (আদাচূর্ণ) ২০ গ্রাম ২ কাপ পানিতে জ্বাল ক্রে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে নির্যাসটুকু দিনে ২-৩ বার সেব্য।

 

সতর্কতা: নির্দিষ্ট মাত্রায় অধিক সেবন করা সমীচীন নয়